জাহিদ বকুল
কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত । ভাইরাসটি বর্তমানে সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে । এই ভাইরাসটি অতিমাত্রার ছোঁয়াছে। এর কারণে সারাদেশেই অঘোষিত লকডাউন চলছে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে সরকারিভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাত্রীবাহী বাস ও গণপরিবহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে যাওয়ার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শপিং মল, দোকান পাঠ সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শুধু ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দোকান।টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি ও গণপরিবহন বন্ধের ফলে রাজধানী ঢাকা শহর পুরোপুরি ফাঁকা। চরম দুর্ভোগ ও বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। অনাহারে-অর্ধাহারে তাদের দিন যেনো কাটছেই না। আর তাদের দুঃখ কষ্ট দেখে রাজধানী ঢাকা শহরের ফার্মগেট এলাকা নিবাসী ব্যবসায়ী আশরাফ হক ও এডভোকেট আশা হক দম্পতি তাদের নিজেদের খাবারের অংশ থেকে এবং প্রতিবেশীর কাছ থেকে খাবার সংগ্রহ করে অসহায় সুবিধা বঞ্চিত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। নিজ উদ্যোগে এবং নিজেদের খাবারের অংশ থেকে প্রতিদিন এক বেলা আহার কর্মসূচি শুরু করেছন এই দম্পতি।
এই দম্পতি জানায়, "মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য"। টানা ১০ দিনের ছুটির কারণে ঢাকা শহরের মানুষ সব নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছে এবং করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ও সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাই শহর একদম ফাঁকা। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয়-রোজগার। আর অসহায় হয়ে পড়েছেন এসব নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। তাদের দুঃখের কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের মুখে এক বেলার আহার তুলে দেয়ার জন্যই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রতিদিন আমরা আমাদের নিচ উদ্যোগে এক একবেলার খাবার প্রায় একশ লোকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান করছি আসুন এই দুর্দিনে অসহায়দের পাশে দাঁড়াই।বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। যার মধ্যে বাংলাদেশেও রয়েছে। ভাইরাসটি ইতোমধ্যে ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছে সোয়া ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়ে প্রায় ৩৪ হাজার মানুষের।
গত বছরের শেষের দিকে চীনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। তিন মাসের মধ্যে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। চীনে মহামারী রূপ নেওয়ার পর ভাইরাসটি তাণ্ডব চালাতে শুরু করে ইউরোপজুড়ে।
এরই মধ্যে এই ভাইরাস ইউরোপের ইতালি ও স্পেনকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। দেশ দুটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে যথাক্রমে সাড়ে ১০ হাজার ও সাড়ে ৬ হাজার মানুষ। এছাড়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও ৮ হাজার মানুষ।
সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া। তার বয়স আনুমানিক ২০ বছর। যে চার জন করোনা মুক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এমনকি করোনা মুক্ত চার জনের মধ্যে বাকি দুই জনের বয়স ৮০ ও ৬০ বছর। এর মধ্য দিয়ে বয়স্কদের মধ্যে যে ভয় ছিল, সেটি আর থাকার কথা ন
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি দিয়েছে সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই ছুটির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।